হেরিটেজ ভবন সংস্কারের আশ্বাস : স্থাপন করা হল মূর্তি

8th September 2021 8:39 am বর্ধমান
হেরিটেজ ভবন সংস্কারের আশ্বাস : স্থাপন করা হল মূর্তি


ব্রজ দাস ( পূর্বস্থলী ) : পূর্বস্থলীর ঐতিহাসিক নীলমণি ব্রহ্মচারি ইন্সটিটিউশনের এক অনুষ্ঠানে যোগদিয়ে ভগ্নগ্রস্থ হেরিটেজ বিল্ডিংটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেন প্রশাসন আধিকারিকরা। এদিন ওই স্কুলে তিন বিশিষ্ট মণিষীর আবক্ষ মুর্তি উন্মোচন করা হয়। মুর্তিগুলো হল ভারতখ্যাত বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারি, তার পিতা নীলমণি ব্রহ্মচারি ও তৎকালিন শিক্ষাবিদ কৃষ্ণনাথ ন্যায়পঞ্চাননের। এছাড়া স্কুলের পূর্বদিকের একটি বিল্ডিংয়ে জিমখানার উদ্বোধন করা হয়। যেখানে ছাত্র ছাত্রীরা শরীর চর্চা করতে পারবে। উপস্থিত ছিলেন, কালনার মহকুমাশাসক সুরেশকুমার জগৎ, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক সৌমিক বাকচি, কাটোয়া্র বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন গুনীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর নীলমণি ব্রহ্মচারি ইন্সটিটিউটের  ঐতিহাসিক হেরিটেজ বিল্ডিংটি ঘুরে দেখেন তারা। বিডিও বলেন, ওই বিল্ডিং সংস্কারের জন্য জেলাশাসকের দপ্তরে ৪৮ লক্ষ টাকার এষ্টিমেট জমা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেটি জেলা থেকে অ্যপ্রুভালের জন্য রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। অর্থ অনুমোদন হলেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে। যদিও, দীর্ঘদিন সংস্কার না হবার ফলে বিষয়টি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা সরব হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসন আধিকারিকদের। 
 জানাগিয়েছে, ওই হেরিটেজ বিল্ডিংটি প্রায় ১৭২ বছরের পুরাতন। ইংরেজরা ওই স্কুলের নাম করণ করেছিলেন ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউট। পরে ১৮৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তরে পড়ানোর স্বীকৃতি পায় এই স্কুলটি। বর্তমানে আজও ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউটের নামাঙ্কৃত ফলকটি স্কুলের দেওয়ালে গাঁথা রয়েছে। ১৯৩০ সালে কালাজ্বর অষুধের অবিস্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারির পিতা নীলমণি ব্রহ্মচারির নামে ওই স্কুলের নাম করণ হয়। তবে, দীর্ঘদিন ওই ঐতিহাসিক বিল্ডিংটি ব্যবহার না করার ফলে বর্তমানে সেটি ভগ্নদশায় পরিনত হতে চলেছে। তবে এদিন সরকারি আধিকারিকদের ঘোষণায় সকলেই খুশি হয়েছেন।
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।